দশকের পর দশক ধরে, ভিম বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এক আস্থার নাম। ডিশওয়াশিং ব্র্যান্ডের বাইরেও, এটি রান্নাঘরের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী, যার শক্তিশালী ক্লিনিং পাওয়ার প্রতিদিনের রান্নার গর্বকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
ডিশওয়াশিং আরও সহজ, দ্রুত ও পরিচ্ছন্ন করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ১৯৮৭ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসে ভিম। তখন রান্নাঘরে ছাই আর ডিটারজেন্ট পাউডারের প্রচলন ছিল বেশি। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যে শক্তিশালী গ্রিস-কাটিং ফর্মুলা ও টাটকা লেবুর সুবাস সমৃদ্ধ ভিম পাউডারের ছোট্ট এক চামচ সেই গল্প বদলে দিতে শুরু করে।
বছর ঘুরে ভিমও বদলেছে সময়ের সাথে। ২০০১ সালে আসে ভিম ডিশওয়াশ বার, ব্যস্ত রান্নাঘরের জন্য আরও সহজ আর সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে। অল্প সময়েই এটি জায়গা করে নেয় প্রতিটি রান্নাঘরে তার শক্তিশালী তেল কাটার ক্ষমতা আর লেবুর টাটকা ঘ্রাণে।
ছাই থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক রান্নাঘর - ভিমের গল্প আসলে বাংলাদেশের ঘরেরই গল্প। আজ রান্নাঘরের প্রতিটি কোণে তার জায়গা পাকাপোক্ত।

ঐতিহ্যের টান: বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমে ভিমের যাত্রা
টানা দুই বছর ধরে ‘ব্র্যান্ড ফুটপ্রিন্ট রিপোর্ট’-এ দেশের সবচেয়ে বেশি বেছে নেওয়া হোম কেয়ার ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ভিমের যাত্রা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর মানুষের প্রতিদিনের জীবনের সাথেই গড়ে উঠেছে।
শুরুর দিক থেকেই ভিমের ক্যাম্পেইনগুলো টেলিভিশন আর গ্রামীণ এলাকায় সরাসরি অ্যাক্টিভেশন ও স্টোরিটেলিং-এর মাধ্যমে আধুনিক ডিশওয়াশিং অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিশিয়েটিভগুলোর মধ্যে একটি ছিল 'ভিম স্মার্ট গৃহিণী টেলিভিশন সিরিজ' - যেখানে ঘরের গৃহিণীদের বুদ্ধিমত্তা, প্রেরণা আর প্রতিদিনের সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছিল গল্পের মাধ্যমে। সারা দেশের লাখো দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই সিরিজ প্রমাণ করে যে, ভিম এক অনন্য ব্র্যান্ড, যা গৃহিণীদের অবদানকে সম্মান করে এবং তাদের ভূমিকাকে গর্বের সাথে উদযাপন করে।
গ্রামের উঠান থেকে শুরু করে জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল পর্যন্ত, ভিম রেডিও, টিভি ও ইন্টারঅ্যাকটিভ লোকগান আসরের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দিয়ে মানুষের ক্ষমতায়ন করেছে। ভিম বার চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইন ও স্ক্রাবার বান্ডল স্কিম ব্র্যান্ডটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন - যা সমাজের মানুষের কাছে রান্নাঘরের যত্নকে সহজ ও উপভোগ্য করেছে।
ভিম মনোহর ইফতার রমজানের সময়ে দেশের ঘরে ঘরে এক প্রিয় ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। সেলিব্রিটি শেফ কেকা ফেরদৌসীর উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠান শুধু রেসিপিই নয়, বরং প্রতিটি ফ্রেমে তুলে ধরেছে রান্নার আনন্দ, সংস্কৃতির গর্ব আর ঝকঝকে পরিষ্কার রান্নাঘরের অনুপ্রেরণাময় গল্প। প্রোডাক্ট সচেতনতা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক গর্বকে একসাথে এনে ভিম সবসময়ই কনজুমারদের সাথে এমনভাবে যুক্ত থেকেছে, যা সাধারণ মার্কেটিং-এর থেকে আলাদা। এমনকি, ২০২৫ সালে ‘ভিম মনোহর ইফতার’ রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি দেখা এন্টারটেইনমেন্ট টিভি শো-এর তালিকায় শীর্ষে ছিল, যা এই সংযোগেরই প্রমাণ।

রান্নার গর্ব ফিরিয়ে আনা: ১ নিমিষেই দেশী স্বাদ
এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায়, ভিম লিকুইড শুরু করেছে নতুন এক উদ্যোগ - “১ নিমিষে দেশি স্বাদ”, যেখানে উদযাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রান্নার ঐতিহ্য। এই ক্যাম্পেইন শুধু প্লেট পরিষ্কারের গল্প না, এটা সেই খাবারের গল্প, যা পরিবারকে এক করে, আর সেই রান্নাঘরের গল্প, যেখান থেকে জন্ম নেয় আমাদের সংস্কৃতি আর স্বাদে ভরা স্মৃতি।
এই ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের রেসিপি ও হোম শেফদের গল্প- যা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা রান্নার জাদুকরদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছে। টিকটকে ৬৫ মিলিয়ন এবং ইউটিউবে ৪ মিলিয়ন ভিউ পাওয়া এই ক্যাম্পেইনটি ডিজিটাল জগতে দারুণ আলোড়ন ফেলেছে। আগামী দিনে ভিমের লক্ষ্য একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং রান্নার আনন্দকে উদযাপন করা হয়।

উৎসবে নতুনত্ব: ভিম লিকুইড রমজান এক্সক্লুসিভ প্যাক
২০২৫ সালে, ভিম লিকুইড নতুন রূপে ফিরে আসে আরও আধুনিক ও আকর্ষণীয় প্যাকেজিং আর বোল্ড ব্র্যান্ড প্রপোজিশন নিয়ে, যা কনজুমারদের ঘর আর মনে ভিম লিকুইডের জায়গাকে আরও দৃঢ় করে তোলে। দৈনন্দিন ব্যবহারে আরও সহজ অভিজ্ঞতা দিতে এর ফরম্যাটও নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে প্রতিটি ঘরের প্রয়োজনের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় আসে রমজান এক্সক্লুসিভ প্যাক। লিমিটেড এডিশনের এই প্যাকটি রমজানের ভাবনা ও অনুভূতিকে তুলে ধরে তার প্রিমিয়াম প্যাকেজিং আর উৎসবমুখর ডিজাইনের মাধ্যমে।
তবে এটি শুধু নতুন প্যাকেজিং না, বরং এক বিশেষ ইনভাইটেশন - সেলফ-নোমিনেশনের মাধ্যমে আইকনিক শেফ কেকা ফেরদৌসীর সাথে এক্সক্লুসিভ কুকিং মাস্টারক্লাসে অংশ নেওয়ার সুযোগের জন্য। এই নোমিনেশনগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন ২০ জন উদীয়মান শেফ, যারা পাবেন প্রফেশনাল কালিনারি ট্রেনিংয়ের সুযোগ এবং ফিচার্ড হবেন ভিম লিকুইডের সোশ্যাল ফার্স্ট প্ল্যাটফর্মে।
ঐতিহ্য, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও কমিউনিটির গর্বকে একই সুতোয় গেঁথে, ভিম আবারও প্রমাণ করলো যে এটি কেবল রান্নাঘরের সঙ্গী না বরং আমাদের সংস্কৃতির এক মহোৎসব।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে
বার সাবান থেকে শুরু করে লিকুইড ইনোভেশন - রেডিও নাটক থেকে টিকটক চ্যালেঞ্জ - ভিম আজও নিজের শিকড়ে অটল থেকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। প্রতিটি নতুন পণ্যে ও প্রতিটি ক্যাম্পেইনে ভিমের বার্তা অপরিবর্তিত - ভিম রান্নাঘরের যত্ন, রান্নার আনন্দ ও প্রতিটি খাবারের পেছনের মানুষকে উদযাপন করে। সময় ও ট্রেন্ডের সাথে স্বাদ যতই বদলাক, ভিম জড়িয়ে থাকবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদিনের গল্পে। শুধু ডিশওয়াশিং না, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও ভিম সহায়তা করছে।
